সাগরিকা বদলে দিলো বাবলু কাঁহার জীবন কাহিনী

লেখক: আ ন ম মিজানুর রহমান
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

বাবলু কাঁহার, বাবা শ্যামল চন্দ্র কাঁহার কাঁকড়ার ব্যবসা করতেন। বাবার বয়সের কারনে ৮ম শ্রেনী পযন্ত লেখা পড়া শেষে বাবলু কাঁহার বাবার কাঁকড়ার ব্যবসার হাল ধরেন। বাবলু কাঁহার ১৮ বছর বয়সে ২০০৬ সালে বিয়ে করেন। ১ ছেলে,২ মেয়ে, ৫ জনের সংসার, তিন বেলা খাবার জোটাতে বড়ই কষ্ট হচ্ছিলো তার।

ছেলে মেয়েরা সবাই লেখাপড়া করেন। ২০০১ সালে তার বাবা সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা থেকে ৫০০০ টাকা ঋণ এ ব্যবসা আরম্ভ করেছিলেন। এক দিকে বাবার অনুপ্রেরণা অন্যদিকে সংসারের হাল ধরা নিয়ে তার জীবন সংগ্রাম শুরু। বাবার এ  ব্যবসা পাশাপাশি আয় বাড়াতে বাবলু মেঘনা নদীর অববাহিকা অঞ্চল থেকে কাঁকড়া সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। অবশ্য কাঁকড়া সংগ্রহের কাজ বেশি দিন করতে হয়নি তাকে। তিনি যখন বুঝতে পারলেন, নরম কাঁকড়ার বাজারে দাম ভাল পাওয়া যায় না, তখন মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাঁকড়াকে উচ্চমূল্যে বিক্রির উপযোগী করে তোলেন। কিন্ত কাজটি এতোটা সহজ ছিলোনা বাবলুর জন্য। মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়াটি আরও ভালভাবে করার জন্য দক্ষতা ও অভিক্ষতার প্রয়োজন। ২০১৬ সালে সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার স্বপন মার্কেট ব্যবসায়ি সমিতির সদস্য হিসেবে ভর্তি হন তিনি। কাঁকড়ার ব্যবসা  আরও বড় পরিসরে করার জন্য সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা চরবাটা শাখা থেকে ১ম ধাপে ৬০০০০ টাকা ঋণ নেন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিট মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ প্রযুক্তি কার্ক্রমের আওতায়  প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।

তারপর তিনি নরম সেলের কাঁকড়া বাজারে দাম কম এবং আর্ন্তজাতিক  বাজারে বিক্রি না হওয়ার কারণে পরবর্তীতে বড় আকারে নরম সেলের কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজার উপযোগি করার কাজ শুরু করেন। বাবলুর সাথে কথা বললে বাবলু বলেন, সাগরিকার সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর মাধ্যমে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি,দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং কারিগরি সহযোগিতা ফলে আশানুরুপ উৎপাদন পেয়েছি।

নরম সেলের কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ কাজটি ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে আহরণ করা যায়। এই হিসেবে বছরে ৫ থেকে ৬ বার বাবলু নরম সেলের কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ কাজটি করে। বর্তমানে তিনি প্রায় এক একর জায়গায় কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ কাজ করছেন। বাবলু কাঁহার, বাবা ম্যামল চন্দ্র কাহার কাঁকড়ার ব্যবসা করতেন। বাবার বয়সের কারনে ৮ম শ্রেনী পযন্ত লেখা পড়া শেষে বাবলু কাঁহার বাবার কাঁকড়ার ব্যবসার হাল ধরেন। বাবলু কাঁহার ১৮ বছর বয়সে ২০০৬ সালে বিয়ে করেন। ১ ছেলে,২ মেয়ে, ৫ জনের সংসার, তিন বেলা খাবার জোটাতে বড়ই কষ্ট হচ্ছিলো তার। ছেলে মেয়েরা সবাই লেখাপড়া করেন। ২০০১ সালে তার বাবা সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা থেকে ৫০০০ টাকা ঋণ এ ব্যবসা আরম্ভ করেছিলেন। এক দিকে বাবার অনুপ্রেরণা অন্যদিকে সংসারের হাল ধরা নিয়ে তার জীবন সংগ্রাম শুরু। বাবার এ  ব্যবসা পাশাপাশি আয় বাড়াতে বাবলু মেঘনা নদীর অববাহিকা অঞ্চল থেকে কাঁকড়া সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। অবশ্য কাঁকড়া সংগ্রহের কাজ বেশি দিন করতে হয়নি তাকে। তিনি যখন বুঝতে পারলেন, নরম কাঁকড়ার বাজারে দাম ভাল পাওয়া যায় না, তখন মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাঁকড়াকে উচ্চমূল্যে বিক্রির উপযোগী করে তোলেন। কিন্ত কাজটি এতোটা সহজ ছিলোনা বাবলুর জন্য। মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়াটি আরও ভালভাবে করার জন্য দক্ষতা ও অভিক্ষতার প্রয়োজন। ২০১৬ সালে সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার স্বপন মার্কেট ব্যবসায়ি সমিতির সদস্য হিসেবে ভর্তি হন তিনি। কাঁকড়ার ব্যবসা  আরও বড় পরিসরে করার জন্য সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা চরবাটা শাখা থেকে ১ম ধাপে ৬০০০০ টাকা ঋণ নেন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিট মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ প্রযুক্তি কার্ক্রমের আওতায়  প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।

তারপর তিনি নরম সেলের কাঁকড়া বাজারে দাম কম এবং আর্ন্তজাতিক  বাজারে বিক্রি না হওয়ার কারণে পরবর্তীতে বড় আকারে নরম সেলের কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজার উপযোগি করার কাজ শুরু করেন। এই বিসয়েয় বাবলুর সাথে কথা বললে বাবলু বলেন, সাগরিকার সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর মাধ্যমে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি,দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং কারিগরি সহযোগিতা ফলে আশানুরুপ উৎপাদন পেয়েছি।

নরম সেলের কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ কাজটি ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে আহরণ করা যায়। এই হিসেবে বছরে ৫ থেকে ৬ বার বাবলু নরম সেলের কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ কাজটি করে। বর্তমানে তিনি প্রায় এক একর জায়গায় কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ কাজ করছেন।

এ ব্যবসায় তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।। পরবর্তীতে নিজেই স্বপন মার্কেটে কাঁকড়ার আড়ৎ খুলে বসেন এবং সরাসরি ঢাকার বায়ারদের সাথে এ ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তার আড়ৎ থেকে সপ্তাহে ২দিন প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকার কাঁকড়া ঢাকার বাজারে আসে। সব মিলিয়ে সুখেই চলছে এখন বাবলুর সংসার।