গলদা চিংড়ি চাষ, হাজার নুরজাহানের ভাগ্য খুলে দিল সাগরিকা

লেখক: আ ন ম মিজানুর রহমান
প্রকাশ: ৩ মাস আগে
নির্বাহী পরিচালক এবং ডেপুটি ডিরেকটরের হাত থেকেে পুরুষ্কার গ্রহণ করছেন নুরজাহান এবং তার স্বামী

নাম নুরজাহান বেগম, স্বামী সাদমে আলী, র্পূবে ভোলা জলোর লাল মোহন উপজলোর জাহাজমারা গ্রামে বসবাস করতনে।

হতদরদ্রি নুরজাহান ২০১০ সালে নদী ভাঙ্গনে তাদের ভিটামাটি সব হারয়িছেনে। সর্বস্ব হারিয়ে নোয়াখালীর সুর্বণচর উপজেলার ৭নং র্পূবচরবাটা ইউনিয়ন র্পূবচরমজিদ গ্রামে চলে আসেন।

স্বামী দিন মজুরীর কাজ করেন, দিন এনে দিন খায়, এইভাবে কোনমতে চলতো তাদের সংসার। অভাবের কারণে ছোট বেলায় দুজনের কেউই পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি। নুরজাহান বেগম এবং সাদমে আলী শুধু মাত্র নাম স্বাক্ষর করতে পারনে।

সম্পদ বলতে বসতবাড়ি, পুকুর এবং ধানি জমি সহ সব কিছু মিলিয়ে তাদরে  ১৬০ শতাংশ সম্পদ, এর মধ্যে ৪০ শতাংশরে ১টি পুকুর এবং ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে যার মধ্যে তারা ধান এবং মাছ চাষ করে থাকেন।

পুকুর এবং জমির আইলে সবজি চাষ করে পরিবারে ৩ ছেলে এবং ৩ মেয়ে নিয়ে কেটে যাচ্ছিলো তাদের সংসার । দারিদ্রতার কারনে ছেলে মেয়েদেরকে ৫ম শ্রেণীর উপরে পড়ালেখা করাতে পারেননি।

বড় ছেলে চা-দোকানে কাজ করে ২০১২ সালে সাগরকিা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মাঠ র্কমীর সাথে পরিচয় হয় নুরজাহানের। তার পরামর্শে জনতা বাজার শাখায় সদস্য হিসেবে ভর্তি হন তিনি। নতুন জীবন সংগ্রাম শুরু করেন নুরজাহান। সাথে সাহস যোগায় স্বামী সাদমে আলী।

ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সমিতির মিটিং এ ঋণ র্কাযক্রম এর পাশাপাশি আয়-বৃদ্ধিমূলক কাজ, কৃষি, মাছচাষ, গবাদি পশু পালন বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা অংশ গ্রহন করেন।

এই সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে নুরজাহান পল্লী-কর্মসহায়ক ফাউন্ডশেন এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পরচিালতি সমন্বতি কৃষি ইউনিটভুক্ত কৃষি, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ খাতের  সাথে সম্পৃক্ত হন । র্পূবে তিনি গতানুগতিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ভাল লাভবান হতে পারেননি। সাগরকিার সমন্বিত কৃষি ইউনিট মৎস্য খাতে  কার্প-গলদা চিংড়ি মিশ্রচাষ কার্যক্রমের সাথে ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে সম্পৃক্ত হয়ে  প্রদর্শনী স্থাপন , কারগিরি সহায়তা এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তারপরের ইতিহাস ভিন্ন। ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে নুরজাহানের। ১বছর ৬ মাসে পুকুরে মাছ চাষে ১৫০০০ টাকা খরচ করে গলদা চিংড়ি থেকে ১৮০০০ টাকা এবং রুই জাতীয় মাছ থেকে ৩২৪০০ টাকা আয় করেন। পুকুর পাড় এবং বসতবাড়েিত ৮০০০ টাকা খরচ করে  সবজি সীম থেকে ২৫০০০টাকা, সীমরে বীচি থেকে ১৫০০০ টাকা আয় করেন।

সাফল্যের জন্য সমন্বতি কৃষি ইউনিট মৎস্য খাত থেকে ২৩-২৪ র্অথ বছরে সম্মাননা পুরষ্কার পেয়েছেন তারা। পুরুষ্কার পেয়ে দুজনেই খুশি । এখন তাদের পরিশ্রমের ফলে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। ছোট ২ ছেলে মেয়েকে র্বতমানে পড়াশুনা করাচ্ছেন। তার ভবিষৎ পরিকল্পনা সাগরিকার সহযোগতিায় মাছ এবং সবজি চাষ আরও সম্প্রারণ করা।