জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হতাহতের ঘটনা তদন্তে নামছে জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল’। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কাজ শুরু করবে দলটি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের এই দলটি বাংলাদেশে এসেছে এবং তাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেবে সরকার।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে আট শতাধিক ব্যক্তি নিহত এবং হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি ঘরে থাকা শিশুরাও গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বা পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তারা তাদের কাজ শুরু করবেন।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি টেকনিক্যাল টিম থাকবে, যা ফরেনসিক, আইন এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত। কর্মকর্তা জানান, এটি বাংলাদেশের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা, তাই আমাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘ দলের কর্মপরিধি সম্পর্কে জানা গেছে, তারা জুলাই ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর তদন্ত করবে। তারা এই ঘটনাগুলোর কারণ (রুট কজ) পর্যালোচনা করবে এবং ন্যায়বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে সুপারিশ করবে।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘের অগ্রগামী দলটি ঢাকায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ছাত্র, সুশীল সমাজ, মিডিয়া এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুশীল সমাজ, সত্য প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ এবং সামাজিক মতভেদের মধ্যে মিটমাট বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।